Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2018

Atlantis

উন্নত সভ্যতার বাসিন্দারা এই শহর তৈরি করেছিল। ঈশ্বরের রোষে রাতারাতি ধ্বংস হয়ে সমুদ্রে তলিয়ে যায় এই শহর ও সভ্যতা।সেই শহরের কথা মানুষ জানে অন্তত পক্ষে আড়াই হাজার বছরআগে থেকে। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক প্লেটো ৩৬০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই শহর তথা সভ্যতার কথা লিখে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে পল্লবিত হয়েছে লস্ট আটলান্টিসের কাহিনি। যুগে যুগে মানুষ সন্ধান করেছে এই শহরের।লস্ট আটলান্টিস সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা এই— এক উন্নত সভ্যতার বাসিন্দারা এই শহর তৈরি করেছিল। ঈশ্বরের রোষে রাতারাতি ধ্বংস হয়ে সমুদ্রে তলিয়ে যায় এই শহর ও সভ্যতা। কোথায় ছিল এই শহর, তা খুঁজতে মানুষ কখনও অনুমান করছে সিসিলি, মল্টা, সাইপ্রাসের আশপাশ, কখনও বা অতলান্তিক মহাসাগরের অথই নীলে তাকে সন্ধান করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। কেবল পল্লবিত হয়েছে কিংবদন্তি, রচিত হয়েছে একের পরে এক সাহিত্য।সম্প্রতি ‘ব্রাইট ইনসাইট’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেল আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির একটি স্থানকে হারিয়ে যাওয়াআটলান্টিস শহর বলে দাবি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, প্লেটোর বর্ণনার সঙ্গে এই স্থানটির হুবহু মিল রয়েছে।উত্তর পশ্চিম আফ্রিকার মরিটান...

Gilgamas

পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্য গিলগামেস সুমেরিও সভ্যতায় গড়ে ওঠা সমাজে,আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে,এক অনামি কবির হাতে কিউনিফর্ম ভাষায় রচিত হয় গিলগামেস মহাকাব্য। যেকোন মহাকাব্যই একটি সমাজ জীবনের পরিপ্রক্ষিতে রচিত হয়েছে। বহু বছর ধরে কাহিনীগুলি মানুষের মুখে মুখে বাহিত হতে থাকে। লিখিত আকারের মধ্যেও এর মূল চরিত্রগুলি এক থাকলেও,সময়ভেদে এবং অন্চলভেদে কাহিনীর মধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। যদিও মূল কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয় না। যে সমাজকে কেন্দ্র করে কাহিনী গড়ে ওঠে, তার স্বরূপটি খুঁজে পেতে তাই অসুবিধা হয় না। গিলগামেসের কাহিনীও ঠিক এরকমই একটি।সর্বপ্রথম ব্রিটিস মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে অস্টিন হেনরি লেয়ার্ড, ১৮৫০ সাল নাগাদ, বর্তমান ইরাকে খনন কার্য চালিয়ে প্রাচীন সুমেরিও সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করেন। তিনি কিউনিফর্ম ভাষায় লিখিত প্রায় ২০,০০০ মাটির ট্যাবলেট বা টালি ব্রিটিস মিউজিয়ামে পাঠান। শুরু হয় অ্যাসিরিওলজির উপর গবেষনা। কিউনিফর্মভাষার পাঠোদ্ধারের কাজ। পরে আরো অনেক উৎস থেকে প্রায় ৭৫,০০০ এই ধরনের ট্যাবলেট ম্যানিস্ক্রিপ্টউদ্ধার হয়। যার মধ্যে অনেকগুলিই ভাঙা-চোরা। কিউনিফর্ম ভাষা পড়তে পারে হাতে ...

Rajput history

ইতিহাসের পথ ধরে চলুন ফিরে যাই ১৭৩০ সালে। পশ্চিম রাজস্থানের মাড়োয়াড় অঞ্চলের খেজার্লি গ্রামে। আমরা ইতিহাসে পড়েছি চিরকালই রাজস্থান বিখ্যাত ছিল যুদ্ধবিগ্রহ, দখল ও রক্তপাতের জন্য। কিন্তু যেটা ইতিহাসে নেই তা হল প্রকৃতি ও জীবজগৎ বাঁচিয়ে নিজেরা বেঁচে থাকার এক জীবনদর্শনও শিখিয়েছে জলহীন এই রাজপুতনা। এই হিংসার দুনিয়ায় একটি ব্যতিক্রমের মতো রয়েছে বিষ্ণোই সম্প্রদায় যারা আজও প্রকৃতির সঙ্গে জড়িয়ে বাঁচায় বিশ্বাসী। লুন্ঠন, কেড়ে খাওয়া বা ফসলের জন্য রাজ্যবিস্তারের পরম্পরার উল্টোপথে হেঁটে প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে নিজেরা বাঁচার দর্শনে বিশ্বাস করাবিষ্ণোই সম্প্রদায় গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের পথে বোধহয় পৃথিবীতে প্রথমবার (ভারতে তো বটেই) রুখে দাঁড়িয়েছিল।আগে দেখে নেওয়া যাক কারা এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়। কথিত আছে, রাজস্থানের পিপাসার গ্রামে ১৪৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাম্বেশ্বর নামে এক ব্যক্তি। তিনিই পরবর্তীকাল প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়। বিষ্ণুর উপাসনা করতেন জাম্বেশ্বর। যে কারণে সম্প্রদায়ের নাম হয় বিষ্ণোই।গুরু জাম্বেশ্বর তার ভক্তদের বলেছিলেন, প্রকৃতিকে বাঁচানোর কথা। সুস্থভাবে বাঁচতে হলে যে পশু-পাখি-গাছপালারও প্...

khorasan

রাজ্যটির নাম খোরাসন, আফগান রাজ্যের গা ঘেষে।জনসংখ্যা কম, মানুষ শান্তিপ্রিয়। চেঙ্গিস খাঁ এসে দেশটিকে লন্ডভন্ড করে দেন।তৈমুর লঙ এসেও রক্তের ফোয়ারা ছুটিয়ে দেন।পরে পারস্যের শাহ, একজন প্রাদেশিক কর্তা,সুলতান বেগী, মাধ্যমে এই দেশটি শাসন করতেন।সুলতানের এক সুযোগ্য উজীর ছিলেন। নাম মহম্মদ শরীফ। তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষটি দেশটাকে ভালোবাসতেন।দেশবাসীর মধ্যে দুটি ভাগ, কুর্দিস ও তুর্কী। উভয়েই গোলমালের উৎস। উজীর সফলভাবে, তার মোকাবিলা করে, উপাধী পেয়েছেন, উজীরে আজম।তার সম্পদ সুলতানেরই মত, বিশাল প্রাসাদ, আস্তাবলে প্রচুর প্রানী,লোক, লস্কর। উজীরের ছেলে মির্জা গিয়াস শিকার করে, আনন্দ স্ফুর্তি করেই কাটিয়ে দেয়। এমন সুপুরুষ যুবক খুব কম দেখা যায়।তুর্কী সরদার মুস্তাক খাঁ ছিলেন বেনিয়া। গালিচা থেকে রত্ন, সবই কেনা বেচা করেন। তিনি উজীরের অন্দর মহলে প্রবেশের অনুমতি পেতেন।তার মুখ থেকেই খবরটা ছড়ালো যে উজীর মহম্মদ শরীফের বাড়ীটি রুপের হাট। সবাই অত্যন্ত সুপুরুষ আর মহিলারা অসাধারন সুন্দরী।সুলতান বেগী হঠাৎ মারা গেলেন। তার মৃত্যুর পর সুলতান হলেন কাজাক খাঁ। তিনি বেগীর মতই উজীর মহম্মদ শরীফকে মান্যতা দিতেন। এরপর হঠাৎ করেই কাজ...

Imambara murshidabad

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্বর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক নির্দশন ইমামবাড়া। মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ মহকুমার অন্তর্গত। এই নিদর্শনটির নির্মাতা নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ।নিজামত ইমামবাড়া বা হাজারদুয়ারী ইমামবাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে হাজারদুয়ারি প্রাসাদের উত্তরে (সম্মুখে) অবস্থিত। ইমামবাড়াটি কেবল পশ্চিমবঙ্গেই না, সমগ্র ভারতে এটি সর্ববৃহৎ (২০৭ মিটার)। প্রাথমিক পর্যায়ে ন়বাব সিরাজউদ্দৌলা ইমামবাড়াটিকে কাঠ দ্বারা নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু ১৮৪৬ সালে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ইমামবাড়াটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরবর্তীতে ১৮৪৭ সালে হুমায়ুন জাঁ এর ছেলে নবাব নাজিম মনসুর আলী ফেরাদুন জাঁ প্রায় সাত লাখ রুপি ব্যায়ে দ্বিতল ইমামবারাটি পুনঃনির্মাণকরেন।ইমামবাডা় প্রাসাদের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত হয়েছে একটি ছোট আকৃতির দরগা বা মদিনা মসজিদ। দরগার বারান্দা রঙিন টাইলস দ্বারা অলংকৃত এবং এর মধ্যে রয়েছে হযরত মহম্মদ (সা.) এর মদিনার রওজা মোবারকের অনুরূপ একটি প্রতিকৃতি।প্রতি বছর ইসলাম বর্ষের মহরম মাসের এক থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত ইমামবাড়াটি দর্শণার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়।বহু দুরদূরান্তের মুসলমান ভক্ত ও পার্শ্বর্তী হিন্দুরা ও ম...

captain philip gonzalez

ফেলিপ গন্জালেজ যখন ভাসতে ভাসতে প্রশান্তের দক্ষিণে ইস্টার দ্বীপে পৌঁছালেন ততক্ষণে তাঁর চোখ কপালে উঠে গেছে। সারি সারি পাথরের মানুষ যেনো কূলে দাঁড়িয়ে মাথা তুলে দেখছে তাঁদের জাহাজ! আতঙ্ক ঘিরে ধরলো ডেকে দাঁড়ানো সব নাবিককে, নোঙরের আগেই....সালটা সতেরোশো সত্তর। আমাদের পলাশীর যুদ্ধের তেরো বছর পর। দ্বিতীয়বারের মতো কোনো বিদেশী জাহাজ ভিড়লো ইস্টার দ্বীপের কূলে।দুটি স্প্যানিশ জাহাজ- সান লরেন্জো আর সান্তা রোজালিয়া। দুটোই ছিলো ক্যাপ্টেন ফেলিপ গোন্জালেজের অধীনে।.ইস্টার দ্বীপের কূলব্যাপী দাঁড়ানো শয়ে শয়ে পাথরের বিশাল মূর্তি গুলো তখনই ভালোভাবে নজরে আসে স্প্যানিশদের।.তীরবর্তী সবকটি মূর্তির মুখ ছিলো সাগরের দিকে ঘোরানো। যেনো একসাথে পাহারা দিচ্ছে দ্বীপকে। যাচাই করছে কে আসলো কে গেলো।.প্রতিটা মূর্তি ছিলো পাথরের তৈরী। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীদের গবেষণায় জানা যায় পাথরগুলো আনা হয়েছিলো দ্বীপের মধ্যবর্তী 'রানো রারাকু' (Rano Raraku) নামের এক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে। অর্থাৎ আগ্নেয় শিলারতৈরি সব।.তাছাড়া একেকটা মূর্তি প্রায় বারো থেকে তেরো ফুট লম্বা আর ওজন প্রায় বারো টন। অর্থাৎ উচ্চতায় দুজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ আর ওজনে ...

Fakir-Sannyasi rebellion

ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহসন্ন্যাসী বিদ্রোহ বলতে মূলত আঠারো শতকের শেষের দিকে (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) ভারতবর্ষের বাংলাতে সন্ন্যাসী ও ফকির বা মুসলিম ও হিন্দু তাপসদের তত্কালীন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনকে বোঝানো হয়েথাকে। ঐতিহাসিক এ আন্দোলন ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামেও পরিচিত। ইতিহাসবিদগণ বিদ্রোহটির পটভূমি নিয়েই শুধু দ্বিধা বিভক্তই নন, বরং ভারতবর্ষের ইতিহাসে এর গুরুত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা মতদ্বৈত্বতা লক্ষণীয়। কেউ কেউ একে বিদেশী শাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকার বলে মনে করেন যেহেতু ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পর খাজনা উত্তোলনের কতৃত্ব ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়া হয়, আবার কারো কারো মতে এটি ১৭৭০ এর দুর্ভিক্ষোত্তর বাংলায় কিছু দস্যুর উন্মত্ততা ছাড়া কিছুই না।পটভূমিঅন্তত তিনটি আলাদা ঘটনাকে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে অভিহিত করা হয়। যার একটি মূলত সম্মিলিত হিন্দু সন্ন্যাসী ও মুসলিম মাদারী এবং ধার্মিক ফকিরদের বৃহত্ গোষ্ঠী যারা পবিত্রস্থান দর্শনের উদ্দেশ্যে উত্তর ভারত থেকে বাংলার বিভিন্নস্থান ভ্রমণ করতেন। যাওয়ার পথে এসব সন্ন্যাসীগণ গোত্রপ্রধাণ,জমিদার অথবা ...

Fakir-Sannyasi rebellion

ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহসন্ন্যাসী বিদ্রোহ বলতে মূলত আঠারো শতকের শেষের দিকে (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) ভারতবর্ষের বাংলাতে সন্ন্যাসী ও ফকির বা মুসলিম ও হিন্দু তাপসদের তত্কালীন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনকে বোঝানো হয়েথাকে। ঐতিহাসিক এ আন্দোলন ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামেও পরিচিত। ইতিহাসবিদগণ বিদ্রোহটির পটভূমি নিয়েই শুধু দ্বিধা বিভক্তই নন, বরং ভারতবর্ষের ইতিহাসে এর গুরুত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে কিছুটা মতদ্বৈত্বতা লক্ষণীয়। কেউ কেউ একে বিদেশী শাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকার বলে মনে করেন যেহেতু ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পর খাজনা উত্তোলনের কতৃত্ব ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে তুলে দেয়া হয়, আবার কারো কারো মতে এটি ১৭৭০ এর দুর্ভিক্ষোত্তর বাংলায় কিছু দস্যুর উন্মত্ততা ছাড়া কিছুই না।পটভূমিঅন্তত তিনটি আলাদা ঘটনাকে সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নামে অভিহিত করা হয়। যার একটি মূলত সম্মিলিত হিন্দু সন্ন্যাসী ও মুসলিম মাদারী এবং ধার্মিক ফকিরদের বৃহত্ গোষ্ঠী যারা পবিত্রস্থান দর্শনের উদ্দেশ্যে উত্তর ভারত থেকে বাংলার বিভিন্নস্থান ভ্রমণ করতেন। যাওয়ার পথে এসব সন্ন্যাসীগণ গোত্রপ্রধাণ,জমিদার অথবা ...

Lakshmeshwar Singh

ডালহৌসি স্কোয়ারের দক্ষিণ পশ্চিম কোণের খানিকটা আড়ালে এক রাজা বসে আছেন।মাথায় শিরোপা সুবিন্যস্ত গোঁফদাড়ি ঝমঝমে ব্যক্তিত্ব। ব্যস্ত শহরে রাজার পরিচয় ফলক মুছে গেছে, কে ইনি ?জানতে গিয়ে আদি কলকাতায় নামলাম ঘাঁটতে শুরু হলো ইতিহাস,ইনি দ্বারভাঙার মহারাজ লক্ষ্মীশ্বর সিং, কিন্তু বিহারী রাজার মূর্তি কলকাতায় কেন?ইতিহাস কিন্তু নীরব নয় জানার আগ্রহ থাকলে সব বলবে,১৯০১ সালের লন্ডনের 'টাইমস্', ১৯০৪ সালে দ্য স্টেটসম্যান, জানাচ্ছে বিহারের এই রাজা বাংলায় বহু জনহিতকর কাজে যুক্ত ছিলেন।১৮৭৪ এবং ১৮৭৯ পরপর দুবার যখন মহামারীর কবলে বাংলার মানুষ তখন এই রাজা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বাংলার মানুষেরপাশে ছিলেন দানধ্যান প্রচুর ওনার।দ্বারভাঙার এই রাজা ছিলেন সূক্ষ্ম মেজাজের সঙ্গীত রসিক খুব ভালো সেতার বাজাতেন,সেইসময়ে কলকাতায় সেরা গাইয়ে "বড়ি মালকাজান" কে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন দ্বারভাঙা রাজসভায় ।মহারাজের বিপুল গুণপনায় মুগ্ধ হয়ে ১৯০৪ সালে ২৫ শে মার্চ ডালহৌসি স্কোয়ারে মূর্তি তৈরি করেন তৎকালীন গভর্নর স্যার অ্যানড্রু ফ্রেজার।তৎকালীন প্রধানবিচারপতি স্যার ফ্রান্সিস ম্যাকলিন, স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়,প্যারীমোহন মুখোপ...

cellular jail(Andaman and Nicobar Islands), India.

সেলুলার জেলঔপনিবেশিক কারাগারসেলুলার জেল বা কালাপানি ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত একটি পূর্বতন কারাগার। ১৯০৬ সালে এই কারাগারটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বহু বিশিষ্ট আন্দোলনকারী যেমন বটুকেশ্বর দত্ত, উল্লাসকর দত্তও বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে এই কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এখন এই দালানটি জাতীয় স্মৃতি স্মারক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে একমাত্র সেলুলার জেলটিই পোড়ামাটির ইঁটে নির্মিত।নারকেল পিষে রোজ ২৫ কেজি তেল বানাতে হতনইলে দেওয়ালের হুক থেকে ঝুলিয়ে ডান্ডা দিয়ে পেটানো। খাবার বলতে ভাতের মাড়। এত কিছু সহ্য করেও উজ্জ্বল স্বাধীনতা সংগ্রামের তিন বাঙালি। বারীন্দ্রকুমার ঘোষ, উপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উল্লাসকর দত্ত— তিন জনেই পরে লিপিবদ্ধ করেছিলেন আন্দামানে সেলুলার জেলেরজীবন।আন্দামান ও নিকোবর যেন ছবির মতো এক পোস্টকার্ড। এক দিকে সমুদ্র, নারকেল গাছ, জঙ্গল। যেন কালিদাস উদ্ধৃত বঙ্কিমের লেখায় ‘তমালতালীবনরাজিনীলা’। অন্য দিকে সেখানেই সেলুলার জেল, বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীর দল।ডেনমার্কের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৫-’৫৬ সালে নিকোবরের দ্বীপ...

Jhargram

ঝাড়গ্রাম ইতিহাসের খণ্ডচিত্রবিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর স্ত্রী লেডি অবলা বসু বাল্য বিধবাদের স্বনির্ভর করার জন্য বিদ্যাসাগর বাণীভবন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।বসু বিজ্ঞানমন্দিরের বিপরীত পাশে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে তাদের হস্তশিল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং শিক্ষকতার জন্য বুনিয়াদী শিক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।ঝাড়গ্রাম রাজ এস্টেটের ম্যানেজার ছিলেন দেবেন্দ্র মোহন ভট্টাচার্য। বাঙালী চরিতাভিধানে ঝাড়গ্রাম জেলার কেবল তাঁর নামই পাওয়া যায়।তাঁর স্মৃতিটুকু আছে কেবল দেবেন্দ্র মোহন হল ডি এম হল।তিনি লেডি অবলা বসুকেঝাড়গ্রামে একটি অনুরূপ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য এগার বিঘা জমি দান করেন।ঝাড়গ্রামে এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করে তিনি এখানে এসে যে বাড়িটিতে থাকতেন,তা এখন ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছে।ঐ সময় শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের মৃত্যু হওয়ায় তাঁর পরিবার দুরবস্থায় পড়ে।লেডি অবলা বসু সুকুমার রায়ের স্ত্রীকে কোলকাতার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা কাজে নিয়োগ করেন এবং পরে ঝাড়গ্রাম প্রতিষ্ঠানের পুরো দায়িত্ব তাঁর ওপর ছেড়ে দেন।সত্যজিত রায় ঐ সময় শান্তিনিকেতনের।ছাত্র ছিলেন।মা কাজের চাপে ছেলের কাছে যেতে পারতেন না।তাই সত্যজিত রায় মায়ের সাথ...

Rumpa bidroho

রুম্পা বিদ্রোহদক্ষিণ ভারতের গোদাবরী অঞ্চলের রুম্পা আদিবাসীদের সশস্ত্র বিদ্রোহ(১৮৭৮-১৮৮০)উনবিংশ শতকের সপ্তম দশকে মাদ্রাজ প্রদেশ জুড়ে প্রবল দুর্ভিক্ষে ৫০ লক্ষ মানুষ প্রান হারান। ১৮৭৬ এর ২৩ শে নভেম্বর অমৃত বাজার পত্রিকা এই দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে বৃটিশ শাসকের শোষন, উদাসীনতাকে দায়ী করেছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতাবাসীর কাছে দুর্ভিক্ষপীড়িতমানুষদের সাহায্যার্থে অর্থদানের আবেদন করলেও বিশেষ সাড়া পাওয়া যায়নি। এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ভেতরেই উপুর্যপরি শোষন, বনাঞ্চল সংক্রান্ত বাধানিষেধ ও করের বোঝা দক্ষিণ ভারতে পর্বত-অরন্যচারীরুম্পা আদিবাসীদের ভেতর তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়।রুম্পা সম্প্রদায় ছিল গোষ্ঠীমূলক। সমাজে সব কাজই একত্রিত সিদ্ধান্তে হতো। সুতরাং সকলেই মিলিতভাবে বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেয়। এদের প্রধান নেতা ছিলেন চান্দ্রিয়া। লিংগম রেড্ডি, থুমন ধোরা প্রমুখ অন্যান্য নেতারাও বিদ্রোহ পরিচালনা করেন। তারা থানা আক্রমন, অগ্নিসংযোগ, সরকারী কর্মচারীদের হত্যা ও ভদ্রাচলম, বিশাখাপত্তনম তথা পূর্ব গোদাবরী অঞ্চলে নিজেদের অধিকার কায়েম করলে সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর সাথে খন্ডযুদ্ধ হয়, উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র ও স...

ivan petrovich pavlov

ইভান পেত্রোভিচ পাভলভ (১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৮৪৯ - ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬) একজন রুশ চিকিৎসক যিনি বস্তুবাদী গবেষণার জন্য প্রসিদ্ধ। তার শৈশব দিন থেকে পাভলভ অস্বাভাবিক শক্তির বুদ্ধিগত প্রতিভা প্রদর্শন করে যার নাম দেন "গবেষণার জন্য প্রেরণা"।তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান "সাপেক্ষ প্রতিবর্ত" ব্যাখ্যাকারী গবেষণাসমূহ। তিনি গুরুমস্তিষ্কের অনেকগুলি প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ব্যাখ্যা প্রদান করেন, এবং গবেষণার মাধ্যমে কুকুরের দেহে কিভাবে এই সব প্রতিবর্ত তৈরি হয় ও কাজ করে তা প্রমাণ করেন। ১৯২২ সালে তার ফলাফলগুলি ভাষণ আকারে প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯০৪ সালে পৌষ্টিকপ্রণালীরউপর গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।ইভান পেত্রোভিচ রাশিয়ার রায়জান নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর ১১ জন ভাইবোনদের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন গ্রামের একজন ধর্ম যাজক। পিতার ইচ্ছানুযায়ী স্নাতক পাশ করার পর তিনি গ্রামের কাছাকাছি এক ধর্মবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৮৭৫ সালে শারীরবিদ্যা বিষয়ে কৃতকার্য হন এবং চিকিৎসাবিদ্যায়ডাক্তারি করতে মনোনিবেশ করেন এবং ১৮৮০ সালে সে বিষয়ে পাশ করেন।চিকিৎসক হবার পর ১৮৮৬ সালে তিনি সেন্ট পিটার...

History of 14th september

আজকের এইদিনে--১৪ সেপ্টেম্বরঘটনাবলী-------------৭৮৬ সালের এইদিনে আল হাদির মৃত্যুর পর তাঁর ভাই হারুন অর রসিদ আব্বাসীয় খলিফা নিযুক্ত হন।১৮০৪ সালের এইদিনে আবহাওয়া গবেষণার কাজে প্রথম বেলুন ব্যবহার করা হয়।১৮১২ সালের এই দিনে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় পৃথিবীর ইতিহাসের অন্যতম একটি ভয়াবহ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।১৯১৭ সালের এইদিনে রাশিয়াকে রিপাবলিক ঘোষণা করা হয়।১৯৪৯ সালের এইদিনে ডঃ অ্যাডেনর জার্মানির প্রথম চ্যান্সেলর নিযুক্ত হন।১৯৫৯ সালের এইদিনে প্রথম মহাশূন্যযান সোভিয়েতের লুনিক-২ চাঁদে অবতরণ করে।১৮৬৭ সালের এই দিনে কার্ল মার্কস মুখ্য রচনা ডাস ক্যাপিটাল প্রকাশিত হয়।১৯৬০ সালের এইদিনে 'অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কাউন্ট্রিস' (ওপেক) প্রতিষ্ঠিত হয় ।১৯৭৯ সালের এইদিনে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি নূর মোহাম্মদ তারাকি সামরিক অভ্যুত্থানে নিহত হন ।১৯৮২ সালের এইদিনে লেবাননের রাষ্ট্রপতি বাসির গামায়েল নিহত হন।১৯৯৫ সালের এইদিনে কলকতায় পাতাল রেল চালু হয় ।২০০০ সালের এইদিনে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এমই ( ME) বাজারে ছাড়ে ।জন্ম------১৭৯১ - ফ্রান্ৎস বপ, জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী।১৮৭১ - ইয়োসেফ ব্লক, ছিলেন একজন ...

Bharat sabha bhavan

ভারত সভা ভবনউনিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ।১৮৫৭এর বিদ্রোহ হয়ে গেছে। ভারত তখন ক্ষুদ্র স্বার্থ, প্রাদেশিকতা, ধর্মীয় বিভেদের জালে আবদ্ধ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্রিটিশের শোষণ ফাঁস আরও দৃঢ় হয়ে বসছে ভারতের গলায়। এইশোষণ থেকে মুক্তি পেতে গড়ে উঠছে জমিদার সভা, রায়ত সভা, ইন্ডিয়া লিগের মতো প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তাদের মধ্যে কোন একতা নেই, নেই সামঞ্জস্য। আবার অন্যদিকে দ্বি-জাতিতত্বেরচক্রান্তে ধর্মীয় বিভাজনও বাড়ছে।এমন সময় ভারতের আকাশে উদ্ভব হোল এক নক্ষত্রের। জাতীয়তাবাদের বিকাশ পুরুষ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যিনি অনুভব করলেন ভারতকে বাঁচাতেগেলে চাই এক মিলিত প্রচেষ্টা। বিভেদ ভুলে একত্রিত করতে হবে সারা ভারতের সব প্রতিবাদী কণ্ঠকে। বিকশিত করতে হবে জাতীয়তাবাদকে। বাঙালি বিহারী মারাঠি নয়, হিন্দু মুসলিম জৈন শিখ নয়। হতে হবে ভারতীয়। আর তার জন্য গড়ে তুলতে হবে একটি সর্বভারতীয় জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক সংগঠন।সেই ভাবনার ফসল হিসাবে ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৬ শে জুলাই প্রতিষ্ঠিত হোল ভারতসভা। সুরেন্দ্রনাথ সহযোগী হিসাবে পেলেন আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রীদের মতো মানুষদের। এগিয়ে চলল জাতীয়তাবাদের রথ। সিভিল সার্ভিসপরীক্ষার বয়সসীমা বৃদ...

Bandar Deol,Banda purulia

পুরানো সেই দিনের কথা: বান্দার দেউল, বান্দা, পুরুলিয়া জেলা। ১৮৭২ সালে জোসেফ ডেভিড বেগলারের তোলা ছবি।● দেউলের বর্ণনা: বান্দা পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর শহর থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রত্নস্থল।দেউলটি ১৪ফুট × ১৪ ফুট × ৭২ ফুট আয়তনের বর্গক্ষেত্রাকারএকটি রেখদেউল। দেউলের নিম্নতলের চত্বর আনুমানিক দেড়শ ফুট চওড়া ও আড়াইশো ফুট লম্বা। চত্বরের পূর্ব দিকে পাথর দিয়ে বাঁধানো সিঁড়ি ও উত্তরদিকে পাথরের স্তম্ভ হেলানো অবস্থায় বর্তমান। দেউলের সামনের দিকে আঙ্গিনায় আনুমানিক কুড়ি ফুটের একটি মন্ডপ রয়েছে, যার সামনের দিকে পাথরের স্তম্ভ বর্তমান। দেউলের পশ্চিম প্রান্তে আনুমানিক চার ফুট চওড়া আঙ্গিনার প্রবেশ পথ রয়েছে। উত্তরদিকে মূল দেউলের প্রবেশ পথ রয়েছে। দেউলের বেরিয়ে থাকা পাথরের রঙ খয়েরি ও ভেতরের সমান্তরাল পাথর বাদামী ধূসর বর্ণের। দেউলের পূর্ব দেওয়ালে পশ্চিমদিকে মুখ করে আনুমানিক দেড় ফুট উচ্চতার একটি পূর্ণাঙ্গ মকর মূর্তি বর্তমান এবং উপরের দিকে লতা, পাতা, ফুল ও একটি পাখির চিত্র বর্তমান। দেউলের তিন দেওয়ালে তিন ফুট চার ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের ও দুই ফুট প্রস্থের তিনটি কুলুঙ্গী বর্তমান। মন্দি...

Petra nagari

পেত্রাপেত্রা একটি প্রাচীন আরব শহর। বর্তমান জর্দানের দক্ষিণ-পশ্চিমেরগ্রাম ওয়াদি মুসা-র ঠিক পূর্বে হুর পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান। ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দথেকে ২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত এটি ছিল নাবাতাইন রাজ্যের রাজধানী। পেত্রা নগরী মূলত একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত দুর্গ ছিল। এটি বিখ্যাত এর অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিস্তম্ভগুলোর জন্য। এটি তৈরি হয়েছে গুহার মধ্যে যা কোথাও কোথাও মাত্র ১২ ফুট চওড়া, মাথার ওপরে পাথরের দেয়াল। গুহার পাশেই রয়েছে কঠিন পাথরের দেয়ালের গায়ে গ্রথিত সেই প্রাচীন দালানগুলো যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল ‘খাজনেত ফিরাউন’ নামের মন্দিরটি। মন্দিরটি ফারাওদের ধনভান্ডার নামেও পরিচিত। আরো রয়েছে একটি অর্ধগোলাকৃতির একটি নাট্যশালা যেখানে প্রায় ৩০০০ দর্শক একসাথে বসতে পারে।পেত্রা নগরী ছিল অত্যন্ত সুরক্ষিত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। পেত্রার চারধারে ছিল উঁচু পাহাড় আর একটি অফুরন্ত ঝরনাধারা। পশ্চিমের গাজা, উত্তরের বসরা ও দামাস্কাস, লোহিত সাগরের পাশের আকুয়াবা ও লিউস এবং মরুভূমির উপর দিয়ে পারস্য উপসাগরে যাওয়ার প্রধান সব বানিজ্যিক পথগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতো পেত্রা।রোমান...

Qin Shi Huang Emperor of China

সালটা ১৯৭৪, চীনের জিয়ান শহরে উপস্থিত হলেন একদল আর্কিওলজিস্ট। তাঁদের লক্ষ্য প্রথম চীনা সম্রাট কিন-সি-হুয়াংয়েরকবর খুঁড়ে সার্চ চালানো। সম্রাটের সমাধি খুঁড়তে গিয়ে অবশ্য তাঁরা এমন এক জিনিস আবিষ্কার করে ফেললেন যাতে পুরো বিশ্বকেই নড়েচড়ে বসতে হয়েছিলো!.সম্রাটের সমাধি খুঁড়ে তারা পেয়েছিলেন বিশাল এক সৈন্যের বহর। কিন্তু এই পুরো মিলিটারি বাহিনীর একজনও রক্তমাংসের তৈরি না। এরা হলো টেরাকোটা আর্মি!তৎকালীন চীন সম্রাটদের পাগলামির এক অদ্ভুত নিদর্শন!.কিন-সি-হুয়াং ছিলেন চীনের সর্বপ্রথম সম্রাট। পুরো পূর্ব চীন জুড়ে ছিলো তার কিন (Qin) সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি। তাঁর বাপদাদারা সবাই রাজা উপাধি নিলেও ওভারস্মার্ট কিন রাজা উপাধিকে কমন ভেবে নিলেন এম্পেরর বা সম্রাট উপাধি, অর্থাৎ রাজাধিরাজ - রাজাদের রাজা।.অবশ্য এ উপাধি নেয়ার মত কারণও ছিলো। কিন মহাশয়ের সাম্রাজ্য ছিলো গোটা চীনের আড়াই ভাগের এক ভাগ, কমসেকম প্রায় চল্লিশটি বাংলাদেশের সমান। অবশ্য যদিও তাং রাজবংশের শাসন আরো বেশি এলাকাজুড়ে ছিলো, আমরা আপাতত কিন-তাং জমি নিয়ে ঝগড়াতে যাচ্ছিনা।.কথা হলো কিন-সি-হুয়াং ছিলেন মোটামুটি স্পেশাল টাইপ সম্রাট। তাঁর স্পেশালিটির এক চমৎকার উদাহরণ হল...

Mongol bahinir porajoy

যেভাবে থেমে গেল দুর্দর্শ মোঙ্গলবাহিনীর জয়রথবলতে দ্বিধা নেই মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর সেনাবাহিনী হল মধ্যযুগের মোঙ্গল বাহিনী যার সূচনা হয়েছিল চেঙ্গিস খানের হাতে। মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে তাতার বাহিনী নামে পরিচিত ছিল মোঙ্গল বাহিনী। ১২০৬ সালে চেঙ্গিস খানকে মঙ্গোলিয়ার স্তেপের একচ্ছত্র অধিপতি বা গ্রেট খান হিসাবে ঘোষণা করার পর মোঙ্গল বাহিনী একে একে জয় করে নিয়েছিল এশিয়া ও ইউরোপ বিস্তীর্ণ অঞ্চল।ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের মালিক ছিল মোঙ্গলরা।চেঙ্গিসখানের সময় থেকে শুরু হওয়া মোঙ্গলদের জয়যাত্রাঅব্যাহত ছিল পরবর্তী গ্রেট খানদের সময়ও। ভাবতে অবাক লাগে ১২০৬ সাল থেকে ১২৬০ সাল এই অর্ধশত বছরে তাঁরা একটি যুদ্ধেও হারেন নি। বাগদাদ, সমরখন্দ, পারস্য, রাশিয়া, আফগানিস্থান, বেইজিং, বুখারা, আলেপ্পোর মত বড় বড় শহর তাতারি হামলায় মাটির সাথে মিশে গিয়েছিল। কি পূর্ব কি পশ্চিম এমন একটিও রাজ্য ছিলনা যারা মোঙ্গলদের গতি পথে বিন্দুমাত্র বাঁধা সৃষ্টি করতে পেরেছিল। বিশ্বজয়ের যে আকাঙ্খা অপূর্ণ রেখে মারা গিয়েছিলেন চেঙ্গিস খান, তার পুত্র ও পৌত্ররা সেইটার যেন সত্য করতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের বর্বরতায় ইউরোপ ও এশিয়ার কোটি কোটি নিরী...