ডালহৌসি স্কোয়ারের দক্ষিণ পশ্চিম কোণের খানিকটা আড়ালে এক রাজা বসে আছেন।মাথায় শিরোপা সুবিন্যস্ত গোঁফদাড়ি ঝমঝমে ব্যক্তিত্ব। ব্যস্ত শহরে রাজার পরিচয় ফলক মুছে গেছে, কে ইনি ?জানতে গিয়ে আদি কলকাতায় নামলাম ঘাঁটতে শুরু হলো ইতিহাস,ইনি দ্বারভাঙার মহারাজ লক্ষ্মীশ্বর সিং, কিন্তু বিহারী রাজার মূর্তি কলকাতায় কেন?ইতিহাস কিন্তু নীরব নয় জানার আগ্রহ থাকলে সব বলবে,১৯০১ সালের লন্ডনের 'টাইমস্', ১৯০৪ সালে দ্য স্টেটসম্যান, জানাচ্ছে বিহারের এই রাজা বাংলায় বহু জনহিতকর কাজে যুক্ত ছিলেন।১৮৭৪ এবং ১৮৭৯ পরপর দুবার যখন মহামারীর কবলে বাংলার মানুষ তখন এই রাজা লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে বাংলার মানুষেরপাশে ছিলেন দানধ্যান প্রচুর ওনার।দ্বারভাঙার এই রাজা ছিলেন সূক্ষ্ম মেজাজের সঙ্গীত রসিক খুব ভালো সেতার বাজাতেন,সেইসময়ে কলকাতায় সেরা গাইয়ে "বড়ি মালকাজান" কে আমন্ত্রণ জানিয়ে ছিলেন দ্বারভাঙা রাজসভায় ।মহারাজের বিপুল গুণপনায় মুগ্ধ হয়ে ১৯০৪ সালে ২৫ শে মার্চ ডালহৌসি স্কোয়ারে মূর্তি তৈরি করেন তৎকালীন গভর্নর স্যার অ্যানড্রু ফ্রেজার।তৎকালীন প্রধানবিচারপতি স্যার ফ্রান্সিস ম্যাকলিন, স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়,প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়, সকলের উপস্থিতিতে।পৃথিবী বিখ্যাত ভাস্কর এডওয়ার্ড ওনস্লো ফোর্ড মূর্তিটি তৈরি করেন। ১৮৯৮ সালে ১৭ ই ডিসেম্বর এই মহারাজ মারা যান।বাংলা কিন্তু এই দুর্দিনের রাজা কে ভুলে গেছে।
রুম্পা বিদ্রোহদক্ষিণ ভারতের গোদাবরী অঞ্চলের রুম্পা আদিবাসীদের সশস্ত্র বিদ্রোহ(১৮৭৮-১৮৮০)উনবিংশ শতকের সপ্তম দশকে মাদ্রাজ প্রদেশ জুড়ে প্রবল দুর্ভিক্ষে ৫০ লক্ষ মানুষ প্রান হারান। ১৮৭৬ এর ২৩ শে নভেম্বর অমৃত বাজার পত্রিকা এই দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে বৃটিশ শাসকের শোষন, উদাসীনতাকে দায়ী করেছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতাবাসীর কাছে দুর্ভিক্ষপীড়িতমানুষদের সাহায্যার্থে অর্থদানের আবেদন করলেও বিশেষ সাড়া পাওয়া যায়নি। এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ভেতরেই উপুর্যপরি শোষন, বনাঞ্চল সংক্রান্ত বাধানিষেধ ও করের বোঝা দক্ষিণ ভারতে পর্বত-অরন্যচারীরুম্পা আদিবাসীদের ভেতর তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়।রুম্পা সম্প্রদায় ছিল গোষ্ঠীমূলক। সমাজে সব কাজই একত্রিত সিদ্ধান্তে হতো। সুতরাং সকলেই মিলিতভাবে বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেয়। এদের প্রধান নেতা ছিলেন চান্দ্রিয়া। লিংগম রেড্ডি, থুমন ধোরা প্রমুখ অন্যান্য নেতারাও বিদ্রোহ পরিচালনা করেন। তারা থানা আক্রমন, অগ্নিসংযোগ, সরকারী কর্মচারীদের হত্যা ও ভদ্রাচলম, বিশাখাপত্তনম তথা পূর্ব গোদাবরী অঞ্চলে নিজেদের অধিকার কায়েম করলে সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর সাথে খন্ডযুদ্ধ হয়, উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র ও স...
Comments
Post a Comment