Skip to main content

ivan petrovich pavlov

ইভান পেত্রোভিচ পাভলভ (১৪ই সেপ্টেম্বর, ১৮৪৯ - ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৬) একজন রুশ চিকিৎসক যিনি বস্তুবাদী গবেষণার জন্য প্রসিদ্ধ। তার শৈশব দিন থেকে পাভলভ অস্বাভাবিক শক্তির বুদ্ধিগত প্রতিভা প্রদর্শন করে যার নাম দেন "গবেষণার জন্য প্রেরণা"।তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান "সাপেক্ষ প্রতিবর্ত" ব্যাখ্যাকারী গবেষণাসমূহ। তিনি গুরুমস্তিষ্কের অনেকগুলি প্রতিবর্ত ক্রিয়ার ব্যাখ্যা প্রদান করেন, এবং গবেষণার মাধ্যমে কুকুরের দেহে কিভাবে এই সব প্রতিবর্ত তৈরি হয় ও কাজ করে তা প্রমাণ করেন। ১৯২২ সালে তার ফলাফলগুলি ভাষণ আকারে প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯০৪ সালে পৌষ্টিকপ্রণালীরউপর গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।ইভান পেত্রোভিচ রাশিয়ার রায়জান নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তাঁর ১১ জন ভাইবোনদের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন গ্রামের একজন ধর্ম যাজক। পিতার ইচ্ছানুযায়ী স্নাতক পাশ করার পর তিনি গ্রামের কাছাকাছি এক ধর্মবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৮৭৫ সালে শারীরবিদ্যা বিষয়ে কৃতকার্য হন এবং চিকিৎসাবিদ্যায়ডাক্তারি করতে মনোনিবেশ করেন এবং ১৮৮০ সালে সে বিষয়ে পাশ করেন।চিকিৎসক হবার পর ১৮৮৬ সালে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গে চাকরির আবেদন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তিনি চাকরিটা পান না। পরবর্তীতে গবেষণার কাজে লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাডউইকের সাথে কাজ করেন। সেখানে বিজ্ঞানী ওনডট-এর সাথে পরিচিত হন। ১৮৯০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে যে কলেজে ডাক্তরি পড়েছিলেন সে কলেজেই অধ্যাপনার কাজ পান। তবে তিনি মূলত গবেষণাধর্মী কাজই বেশি করতেন।পাভলভের প্রধান খ্যাতি কুকুরের সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার গবেষণাকে কেন্দ্র করে। এই গবেষণার মাধ্যমে মানুষ এবং পশুর মস্তিষ্কের সংগে বাইরের উত্তেজকের সম্পর্কের বিধান আবিষ্কার করে। তার সাপেক্ষ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার তত্ত্বের ভিত্তিতে আধুনিক মনোবিজ্ঞানে বস্তুবাদী এবং আচরণবাদী গবেষণা ও ব্যাখ্যা বিশেষভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

Comments

Popular posts from this blog

Rumpa bidroho

রুম্পা বিদ্রোহদক্ষিণ ভারতের গোদাবরী অঞ্চলের রুম্পা আদিবাসীদের সশস্ত্র বিদ্রোহ(১৮৭৮-১৮৮০)উনবিংশ শতকের সপ্তম দশকে মাদ্রাজ প্রদেশ জুড়ে প্রবল দুর্ভিক্ষে ৫০ লক্ষ মানুষ প্রান হারান। ১৮৭৬ এর ২৩ শে নভেম্বর অমৃত বাজার পত্রিকা এই দুর্ভিক্ষের কারণ হিসেবে বৃটিশ শাসকের শোষন, উদাসীনতাকে দায়ী করেছিল। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতাবাসীর কাছে দুর্ভিক্ষপীড়িতমানুষদের সাহায্যার্থে অর্থদানের আবেদন করলেও বিশেষ সাড়া পাওয়া যায়নি। এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের ভেতরেই উপুর্যপরি শোষন, বনাঞ্চল সংক্রান্ত বাধানিষেধ ও করের বোঝা দক্ষিণ ভারতে পর্বত-অরন্যচারীরুম্পা আদিবাসীদের ভেতর তীব্র ক্ষোভের জন্ম দেয়।রুম্পা সম্প্রদায় ছিল গোষ্ঠীমূলক। সমাজে সব কাজই একত্রিত সিদ্ধান্তে হতো। সুতরাং সকলেই মিলিতভাবে বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত নেয়। এদের প্রধান নেতা ছিলেন চান্দ্রিয়া। লিংগম রেড্ডি, থুমন ধোরা প্রমুখ অন্যান্য নেতারাও বিদ্রোহ পরিচালনা করেন। তারা থানা আক্রমন, অগ্নিসংযোগ, সরকারী কর্মচারীদের হত্যা ও ভদ্রাচলম, বিশাখাপত্তনম তথা পূর্ব গোদাবরী অঞ্চলে নিজেদের অধিকার কায়েম করলে সশস্ত্র পুলিশবাহিনীর সাথে খন্ডযুদ্ধ হয়, উন্নত আগ্নেয়াস্ত্র ও স...

Rajput history

ইতিহাসের পথ ধরে চলুন ফিরে যাই ১৭৩০ সালে। পশ্চিম রাজস্থানের মাড়োয়াড় অঞ্চলের খেজার্লি গ্রামে। আমরা ইতিহাসে পড়েছি চিরকালই রাজস্থান বিখ্যাত ছিল যুদ্ধবিগ্রহ, দখল ও রক্তপাতের জন্য। কিন্তু যেটা ইতিহাসে নেই তা হল প্রকৃতি ও জীবজগৎ বাঁচিয়ে নিজেরা বেঁচে থাকার এক জীবনদর্শনও শিখিয়েছে জলহীন এই রাজপুতনা। এই হিংসার দুনিয়ায় একটি ব্যতিক্রমের মতো রয়েছে বিষ্ণোই সম্প্রদায় যারা আজও প্রকৃতির সঙ্গে জড়িয়ে বাঁচায় বিশ্বাসী। লুন্ঠন, কেড়ে খাওয়া বা ফসলের জন্য রাজ্যবিস্তারের পরম্পরার উল্টোপথে হেঁটে প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে নিজেরা বাঁচার দর্শনে বিশ্বাস করাবিষ্ণোই সম্প্রদায় গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংসের পথে বোধহয় পৃথিবীতে প্রথমবার (ভারতে তো বটেই) রুখে দাঁড়িয়েছিল।আগে দেখে নেওয়া যাক কারা এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়। কথিত আছে, রাজস্থানের পিপাসার গ্রামে ১৪৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাম্বেশ্বর নামে এক ব্যক্তি। তিনিই পরবর্তীকাল প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন এই বিষ্ণোই সম্প্রদায়। বিষ্ণুর উপাসনা করতেন জাম্বেশ্বর। যে কারণে সম্প্রদায়ের নাম হয় বিষ্ণোই।গুরু জাম্বেশ্বর তার ভক্তদের বলেছিলেন, প্রকৃতিকে বাঁচানোর কথা। সুস্থভাবে বাঁচতে হলে যে পশু-পাখি-গাছপালারও প্...

Gilgamas

পৃথিবীর প্রাচীনতম মহাকাব্য গিলগামেস সুমেরিও সভ্যতায় গড়ে ওঠা সমাজে,আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে,এক অনামি কবির হাতে কিউনিফর্ম ভাষায় রচিত হয় গিলগামেস মহাকাব্য। যেকোন মহাকাব্যই একটি সমাজ জীবনের পরিপ্রক্ষিতে রচিত হয়েছে। বহু বছর ধরে কাহিনীগুলি মানুষের মুখে মুখে বাহিত হতে থাকে। লিখিত আকারের মধ্যেও এর মূল চরিত্রগুলি এক থাকলেও,সময়ভেদে এবং অন্চলভেদে কাহিনীর মধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। যদিও মূল কাঠামোর কোন পরিবর্তন হয় না। যে সমাজকে কেন্দ্র করে কাহিনী গড়ে ওঠে, তার স্বরূপটি খুঁজে পেতে তাই অসুবিধা হয় না। গিলগামেসের কাহিনীও ঠিক এরকমই একটি।সর্বপ্রথম ব্রিটিস মিউজিয়ামের পক্ষ থেকে অস্টিন হেনরি লেয়ার্ড, ১৮৫০ সাল নাগাদ, বর্তমান ইরাকে খনন কার্য চালিয়ে প্রাচীন সুমেরিও সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করেন। তিনি কিউনিফর্ম ভাষায় লিখিত প্রায় ২০,০০০ মাটির ট্যাবলেট বা টালি ব্রিটিস মিউজিয়ামে পাঠান। শুরু হয় অ্যাসিরিওলজির উপর গবেষনা। কিউনিফর্মভাষার পাঠোদ্ধারের কাজ। পরে আরো অনেক উৎস থেকে প্রায় ৭৫,০০০ এই ধরনের ট্যাবলেট ম্যানিস্ক্রিপ্টউদ্ধার হয়। যার মধ্যে অনেকগুলিই ভাঙা-চোরা। কিউনিফর্ম ভাষা পড়তে পারে হাতে ...